ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার পূর্বে খেয়াল রাখতে হবে বিষয়সমূহ
১. প্রয়োজন অনুযায়ী ডোমেইনের নাম নির্বাচন
সঠিক এবং সহজে মনে রাখার মতো ডোমেইন নাম বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বৃদ্ধি করে এবং দর্শকদের জন্য সহজে মনে রাখা যায়।
২. ডোমেইনের এক্সটেনশন বিবেচনা
.com, .net, .org এর মতো সাধারণ এক্সটেনশনের পাশাপাশি দেশের ভিত্তিক (.bd, .in) বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের (.tech, .store) এক্সটেনশন বিবেচনা করুন, যা আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত।
৩. ডোমেইনের মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন সময়কাল
বিশ্বাসযোগ্য রেজিস্ট্রার থেকে ডোমেইন নিবন্ধন করুন। দীর্ঘমেয়াদে রেজিস্ট্রেশন করলে ভবিষ্যতে সমস্যা কম হবে এবং ডোমেইনের মালিকানা নিশ্চিত থাকবে।
৪. হোস্টিং সার্ভিসের ধরন ও স্পেস
আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচন করুন। শেয়ার্ড হোস্টিং, VPS বা ডেডিকেটেড সার্ভার—প্রতিটির সুবিধা ও অসুবিধা বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।
৫. সার্ভারের গতি ও আপটাইম
সার্ভারের গতি দ্রুত হওয়া উচিত যাতে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়। এছাড়া, সার্ভারের আপটাইম (উপলব্ধতা) শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. নিরাপত্তা ব্যবস্থা
SSL সার্টিফিকেট, ফায়ারওয়াল ও ব্যাকআপ সুবিধা থাকা জরুরি। এটি আপনার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখে।
৭. গ্রাহক সেবা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা
প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা প্রদানকারী কোম্পানি নির্বাচন করুন। ২৪/৭ গ্রাহক সেবা থাকলে যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব হয়।
৮. মূল্য ও নবায়ন ফি
প্রাথমিক মূল্যের পাশাপাশি বার্ষিক নবায়ন ফি কত হবে তা নিশ্চিত করুন। অপ্রত্যাশিত খরচ এড়াতে বিস্তারিত জানুন।
৯. অতিরিক্ত সুবিধাসমূহ
ডোমেইন ফরওয়ার্ডিং, ইমেল অ্যাকাউন্ট, কন্ট্রোল প্যানেল ইত্যাদি সুবিধা থাকলে তা বিবেচনা করুন।
১০. রিভিউ ও রেটিং যাচাই
অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও রিভিউ দেখে নির্ভরযোগ্য কোম্পানি নির্বাচন করুন। এতে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।

Leave a Reply