প্রথমে সাইটটি ডাউনলোড করে ব্যাকআপ নিন, এরপর নিরাপত্তার সমস্যা শনাক্ত করুন। আপনি যদি নিজে সমাধান না করতে পারেন, তাহলে একজন পেশাদার বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সাইটের ম্যালওয়ার স্ক্যান করে নিরাপদ করুন এবং সিকিউরিটি অপটিমাইজেশন করুন।

এটি সাইটের আকার এবং ম্যালওয়ারের প্রকারভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, ছোট সাইটের জন্য ২-৪ ঘণ্টা এবং বড় সাইটের জন্য ৬-৮ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হতে পারে।

যদি আপনি প্রযুক্তিগত দক্ষতা রাখেন তবে কিছু স্ক্যানিং টুল ব্যবহার করে নিজেই চেষ্টা করতে পারেন, তবে পেশাদার সাহায্য নেয়া সব সময় নিরাপদ এবং দ্রুত সমাধান দেয়।

সাইটের নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট করতে হবে, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, নিরাপদ প্লাগইন ও থিম ব্যবহার করতে হবে, এবং সাইটের ব্যাকআপ রাখতে হবে।

পেশাদার সেবা প্রদানকারীরা সাইটের বিভিন্ন নিরাপত্তা স্তর পরীক্ষা করবেন এবং নিয়মিত আপডেট এবং নিরাপত্তা চেক করবেন। এছাড়া, আপনার সাইটের লোগগুলো ও সিকিউরিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আপনি কার্যকারিতা যাচাই করতে পারেন।

অনেক প্লাগইন যেমন UpdraftPlus বা BackupBuddy বা All In one migratin ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার সাইটের ব্যাকআপ নিতে পারেন, অথবা সাইটের হোস্টিং প্যানেল থেকে ম্যানুয়ালি ব্যাকআপ নিতে পারেন।

SSL সার্টিফিকেট সমস্যা সমাধান করতে, সঠিক সার্টিফিকেট ইনস্টল করা, অথবা SSL সার্টিফিকেট প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন হতে পারে।

সাইটের সিকিউরিটি শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া, নিরাপদ প্লাগইন ও থিম ব্যবহার এবং সাইটের নিয়মিত ব্যাকআপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

যদি সাইটের ডেটা হারিয়ে যায়, তবে আপনার শেষ ব্যাকআপ থেকে সাইট পুনরুদ্ধার করা যাবে। যদি ব্যাকআপ না থাকে, তবে পেশাদার সেবা থেকে ডেটা রিকভারি করার চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে সফলতা ১০০% নিশ্চিত নয়।

সাইটে বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়ার যেমন ফাইল ইনজেকশন, ফিশিং স্ক্রিপ্ট, রুটকিট, স্প্যাম স্ক্রিপ্ট, টোকেন চুরির সফটওয়্যার এবং ব্যাকডোর প্রোগ্রাম থাকতে পারে। ম্যালওয়ার সাইটের তথ্য চুরি, ক্ষতিসাধন এবং সাইটের কর্মক্ষমতা কমাতে পারে।

সফল সিকিউরিটি সেবা নিশ্চিত করতে, পেশাদাররা সাইটের সমস্ত নিরাপত্তা লক পরীক্ষা করবেন এবং আপনার সাইটের সিকিউরিটি রিপোর্ট প্রদান করবেন। এছাড়া, নিয়মিত সিকিউরিটি চেক এবং ম্যানুয়াল ইনস্পেকশন করা উচিত।

হ্যাক হওয়া সাইটের SEO ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ ম্যালওয়ার বা স্প্যাম সাইটে ইনজেক্ট হলে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সাইটের র্যাংক কমে যেতে পারে। তবে, নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করার পর, SEO পুনরুদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

সাইটের নিরাপত্তার জন্য কিছু জনপ্রিয় প্লাগইন হল Wordfence, Hide My Wp Ghost Security। এই প্লাগইনগুলি সাইটের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং হামলা প্রতিরোধে সহায়ক।

যদি নিয়মিত নিরাপত্তা আপডেট করা হয়, প্লাগইন এবং থিম সঠিকভাবে কনফিগার করা থাকে, এবং ব্যাকআপ নেয়া হয়, তবে সাইট নিরাপদ থাকবে। তবে সাইটের নিরাপত্তা দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং আপডেট প্রয়োজন।

সাইটের পারফরম্যান্স উন্নত করতে ক্যাশিং প্লাগইন ব্যবহার করুন, ইমেজ অপটিমাইজেশন করুন এবং সার্ভারের রিসোর্স উন্নত করুন। এছাড়া, ডেটাবেসের অপটিমাইজেশন এবং অপ্রয়োজনীয় প্লাগইন সরিয়ে ফেলা উচিত।